আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স জানিয়েছেন, চালকবি;হীন যানবাহন পরিচালনার জন্য দুবাই আমেরিকার বাইরে প্রথম শহর হয়ে উঠবে।২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম কয়েকটি স্ব-ড্রাইভিং গাড়ি রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ হাজার পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
এটি ঘোষণা এমন সময় এলো যখন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম স্বায়ত্তশাসিত যানবাহন সংস্থা জেনারেল মোটরস-ক্রুজের আইনী নির্বাহী পরিচালক জেফ ব্লিচের সাথে দেখা করেছিলেন।
এই পদ্মতিতে গাড়ি চালাতে কোনো চালক থাকবে না। স্বয়ংক্রীয়ভাবে গাড়ি চলে।তবে এটির যেমন ভালো দিক আছে তেমনি মন্দ দিকও আছে।যেমন এই পদ্মতি চালু হওয়ার পরে বহু গাড়ি চালক তাদের চাকরি হারাবে।দুবাইয়ে বেশিরভাগ গাড়ি চালক প্রবাসী।
ফলে অনেক প্রবাসীকে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরতে হতে পারে।টুইটারে ক্রাউন প্রিন্স লিখেছেন যে এই অংশীদারিত্বের ফলে দুবাই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের প্রথম শহর হিসাবে স্ব-চালিকা ক্রুজ যানবাহন পরিচালনা করবে।
দুবাইকে বসবাসের জন্য এবং কাজ করার জন্য সেরা শহর হিসাবে গড়ে তুলতে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহ-রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক, মহিমান্বিত শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের দর্শনের পরিপূরক।
শেখ হামদান বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দুবাইয়ের মোট পরিবহণের ২৫ শতাংশকে বিভিন্ন পরিবহণের মাধ্যমে স্ব-ড্রাইভিং ভ্রমনে রূপান্তর করা।”
ক্রাউন প্রিন্স আরও ব্যাখ্যা করেছিলেন যে “কীভাবে” স্বয়ং গাড়ি চালানোর ভবিষ্যতের জন্য দুবাইয়ের দৃষ্টিভঙ্গি “অর্থনীতি এবং পরিবেশ উভয়কেই যথেষ্ট উপকৃত করবে।
তিনি বলেন, ‘নিজের গাড়ি চালানোর ভবিষ্যতের জন্য দুবাইয়ের দৃষ্টিভঙ্গির লক্ষ্য প্রতিবছর ৯০০ মিলিয়ন দিরহাম যাতায়াত ব্যয় হ্রাস করা এবং পরিবেশ দূষণকে বার্ষিক ১২ শতাংশ হ্রাস করে ১.৫ বিলিয়ন দিরহাম সাশ্রয় করা,।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবহন খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রতি বছর অর্থনৈতিক রাজস্বতে ১৮ বিলিয়ন ডলার অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে।